মাসাজ করার প্রস্তুতি:
- গোসলের পর বা বাথরুমে গরম পানি দিয়ে গরম সংবেদন এনে নিন, যাতে মাসাজের সময় রক্ত সঞ্চালন সহজ হয়।
- নারকেল তেল, অলিভ অয়েল বা বেভা তেল (Almond Oil) হালকা হাতে নিন।
- মাসাজ করার সময় শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশে থাকুন।
মাসাজ পদ্ধতি:
১. উষ্ণ তেল লাগানো
- হাতে কিছু তেল নিন, দুই হাত গরম করুন হাত ঘষে।
- তেল দুই স্তনে সমানভাবে লাগান।
২. ঘড়ির কাঁটার দিকে ও বিপরীত দিকে ঘূর্ণায়মান ম্যাসাজ
- আপনার আঙুলের ডগা দিয়ে স্তনের চারপাশে হালকা চাপ দিয়ে ঘড়ির কাঁটার দিকে আস্তে আস্তে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন।
- তারপর বিপরীত দিকে ৫-৭ বার করুন।
৩. হালকা চাপে উপরে থেকে নিচে কর্ণারে ম্যাসাজ
- দুই হাত দিয়ে স্তনকে নিচ থেকে ধীরে উপরের দিকে তুলুন, যেন টিস্যু একটু টানটান হয়।
- ১০-১৫ বার এই ধরণের ম্যাসাজ করুন।
৪. স্তনবৃন্তের চারপাশে স্পর্শকাতর ম্যাসাজ
- ত্বক খুব নরম ভাবে নাড়াচাড়া করুন, বিশেষ করে স্তনবৃন্তের চারপাশে, যেখান থেকে দুধ নিঃসরণ হয়।
- খুব বেশি চাপ দেবেন না।
৫. স্তনের মাঝখানে হালকা চাপ প্রয়োগ
- দুই হাতের তালু দিয়ে স্তনের মাঝখানে কয়েক সেকেন্ড হালকা চাপ প্রয়োগ করুন।
- এরপর ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন।
মাসাজের সময় ও ফ্রিকোয়েন্সি:
- প্রতিদিন রাতে ১০-১৫ মিনিট সময় দিন।
- মাসাজের সময় নরম ও ধৈর্যশীল থাকুন, একসাথে বেশি চাপ দেবেন না।
- মাসাজের পর ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্রাম নিন।
অতিরিক্ত টিপস:
- মাসাজের সময় ধীরে ধীরে তেল বাড়াতে পারেন, যেমন ফেনুগreek তেল বা ভিটামিন ই তেল।
- মাসাজের সঙ্গে হালকা ব্যায়াম করলে বেশি ফল পাওয়া যায়।
- নিয়মিত মাসাজ করতে হবে, ফল দেখতে সাধারণত ১-২ মাস সময় লাগে।
সতর্কতা:
- যদি মাসাজের সময় ব্যথা বা কোনো অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে বন্ধ করুন।
- কোন ধরনের প্রদাহ, ফোলা বা ক্ষত থাকলে মাসাজ করবেন না।
- যদি ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন হয়, সে অনুযায়ী করুন।
উপসংহার:
বুক মাসাজ নিয়মিত করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, স্তনের টিস্যু নরম ও শক্তিশালী হয়, এবং প্রাকৃতিকভাবে স্তন বড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও ঘরোয়া পদ্ধতি, যা সহজেই করা যায়।