নারীর Nipple / স্তনবৃন্তের প্রকারভেদ (Types of Nipple) — বাংলায় বিস্তারিত

স্তনবৃন্ত সাধারণত নিম্নোক্ত ধরণের হতে পারে:


১. সাধারণ বা প্রোট্রুডেড (Protruding Nipple)

বর্ণনা:
এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের স্তনবৃন্ত। এটি স্তনের উপরে স্পষ্টভাবে বেরিয়ে থাকে এবং স্পর্শ বা ঠান্ডা অনুভব করলে আরও শক্ত বা উঁচু হয়ে যায়।

উদাহরণ:
প্রতিদিনের অবস্থায় স্তনবৃন্ত খানিকটা উঁচু, এবং উত্তেজনায় আরও দৃশ্যমান হয়।



২. ফ্ল্যাট নিপল (Flat Nipple)

বর্ণনা:
এই ধরণের স্তনবৃন্ত স্তনের সমান হয়ে থাকে। বাইরে থেকে খুব একটা চোখে পড়ে না। কখনো কখনো উত্তেজনার সময়েও খুব বেশি উঁচু হয় না।

উদাহরণ:
চোখে পড়ার মতো উঁচু না হলেও, স্পর্শ করলে সংবেদনশীল থাকে।



৩. ইনভার্টেড নিপল (Inverted Nipple)

বর্ণনা:
এই ধরনের স্তনবৃন্ত স্তনের ভেতরের দিকে একটু ঢুকে থাকে। এটি জন্মগতও হতে পারে, আবার বয়স বা হরমোনের প্রভাবে পরবর্তীতে হতে পারে।

উদাহরণ:
উত্তেজনার সময়েও nipple বাইরের দিকে না উঠে বরং ভিতরের দিকে ঢুকে থাকে। এটি একদিকে বা দুই দিকেই হতে পারে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

  • এটি স্বাভাবিক হলেও হঠাৎ করে ইনভার্টেড হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।



৪. পাফি নিপল (Puffy Nipple)

বর্ণনা:
এই নিপল টাইপে স্তনবৃন্ত এবং এর চারপাশের এরিওলা একটু ফোলা এবং নরম হয়। অনেক সময় স্তনবৃন্ত খুব উঁচু না হয়ে সমান বা হালকা উঁচু অবস্থায় থাকে।

উদাহরণ:
এরিওলার অংশ গোলাকারভাবে কিছুটা উঁচু দেখায় এবং ছুঁলে নরম লাগে।



৫. উইন্ডোম নিপল (Unilateral Nipple)

বর্ণনা:
যখন একজন নারীর এক পাশের স্তনবৃন্ত আরেক পাশের চেয়ে আলাদা আকার, গঠন বা উচ্চতার হয়, তখন তাকে Unilateral nipple বলা হয়।

উদাহরণ:
বাম দিকের নিপল ফ্ল্যাট, আর ডান দিকের নিপল প্রোট্রুডেড — এমনটি অনেকের ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক।



৬. সুপারনিউমারারি নিপল (Supernumerary Nipple)

বর্ণনা:
এটি একটি বিরল কিন্তু স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। এতে একজন নারীর শরীরে স্তনের লাইনের বরাবর অতিরিক্ত নিপল থাকতে পারে (মূল স্তনের নিচে বা উপরে)।

উদাহরণ:
প্রধান স্তনের নিচে ছোট একটি চিহ্ন বা টিস্যু, যা দেখতে নিপলের মতো — অনেকেই একে ভুল করে তিল বা আঁচিল ভাবেন।



স্তনবৃন্তের রঙ ও আকারে পার্থক্য

  • রঙ: গোলাপি, বাদামী, গাঢ় বাদামী বা কালচে — সবই স্বাভাবিক
  • আকার: ছোট, মাঝারি বা বড় — গঠন ভিন্ন হলেও কোনোটাই "ভুল" নয়
  • এরিওলা: কেউ কেউয়ের এরিওলা ছোট এবং গাঢ় হয়, কারো বড় ও হালকা — ব্যক্তিভেদে পরিবর্তন হয়



কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত?

স্তনবৃন্তে নিচের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত:

  • হঠাৎ করে নিপল ঢুকে যাওয়া
  • ব্যথা বা জ্বালা
  • রক্ত বা হলুদ তরল বের হওয়া
  • নিপলের গঠন বা রঙে হঠাৎ পরিবর্তন
  • চাকা বা গাঁট অনুভব



উপসংহার

নারীর স্তনবৃন্তের গঠন, আকার ও রঙে ভিন্নতা থাকা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক। এসব ভিন্নতা কোনো অসুস্থতা নয়, বরং ব্যক্তিগত শারীরিক পরিচয়ের অংশ। নিজের শরীরকে যেমন আছে, তেমনভাবে ভালোবাসা ও যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।