.png)
অনেক পুরুষ লক্ষ্য করেন, হস্তমৈথুন বা যৌন উত্তেজনার সময়, বা এমনকি লিঙ্গের আগার চামড়ায় সামান্য ঘষামাঝা হলে, পাতলা, স্বচ্ছ এক ধরনের তরল বের হয়ে আসে। এই তরলকে ইংরেজিতে বলা হয় pre-ejaculate বা সংক্ষেপে pre-cum।
এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া — তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার।
প্রি-কম (Pre-Cum) কী?
প্রি-কম হলো যৌন উত্তেজনার সময় লিঙ্গের মাথা থেকে বের হওয়া একটি পাতলা, স্বচ্ছ ও আঠালো তরল, যা বীর্য নয় — কিন্তু বীর্যের মতোই দেখতে।
এই তরল আসে কাউপারের গ্রন্থি (Cowper’s gland) থেকে, এবং এটি সহবাস বা হস্তমৈথুন শুরুর আগেই বের হতে পারে।
কখন এই তরল বের হয়?
- হালকা উত্তেজনা বা যৌন চিন্তা হলে
- চামড়ায় বা লিঙ্গে সামান্য ঘষা লাগলে
- হস্তমৈথুন বা সহবাস শুরুর মুহূর্তে
- লিঙ্গের চামড়া (ফোরস্কিন) না কাটলে, আরও বেশি অনুভব হতে পারে
প্রি-কম এর কাজ কী?
১. লুব্রিকেন্ট (Lubrication) হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ সহবাস বা হস্তমৈথুনে ঘর্ষণ কমায়
২. মূত্রনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, যেন বীর্য বের হওয়ার পথ বাধাহীন থাকে
৩. যৌন উত্তেজনার প্রস্তুতি হিসেবেই এটি শরীর থেকে নিঃসৃত হয়
এটি কি ক্ষতিকর?
না, সাধারণত প্রি-কম সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং শরীরের একটি প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া।
তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি:
- যদি এই তরলের পরিমাণ অস্বাভাবিক রকম বেশি হয়
- যদি তরলে দুর্গন্ধ বা রঙ পরিবর্তন থাকে
- যদি লিঙ্গের আগায় জ্বালাপোড়া, চুলকানি বা ব্যথা হয়
→ তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে, কারণ তা কোনো সংক্রমণের লক্ষণও হতে পারে।
প্রি-কম এ কি শুক্রাণু থাকে?
হ্যাঁ, কখনো কখনো প্রি-কম-এ অল্প পরিমাণে শুক্রাণু থাকতে পারে। যদিও এর মাধ্যমে গর্ভধারণের সম্ভাবনা খুবই কম, তবুও সুরক্ষাবিহীন সহবাস করলে গর্ভধারণের ঝুঁকি একেবারে শূন্য নয়।
আপনি কী করবেন?
- যদি এটি হালকা পরিমাণে হয় ও কোনো অস্বস্তি না হয়, তাহলে চিন্তার কিছু নেই
- পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন — নিয়মিত ধোয়া ও শুকনো রাখা
- হস্তমৈথুন বা সহবাসের আগে ও পরে লিঙ্গ পরিষ্কার করুন
- যদি যেকোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ থাকে, যেমন ব্যথা বা পুঁজ — তখন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করুন
উপসংহার
লিঙ্গের আগার চামড়া ঘষলে যে পাতলা পানি বা তরল বের হয়, সেটি প্রি-কম, যা শরীরের একদম স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এটি যৌন উত্তেজনার সময় ঘটে এবং বিপজ্জনক নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে যদি এটি অস্বাভাবিক মনে হয়, তাহলে দ্বিধা না করে একজন যৌন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বা ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকুন, নিজের শরীরকে বুঝতে শিখুন।